স্বদেশ ডেস্ক:
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। হত্যার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি এবং গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খুনের রহস্য বের করতে সক্ষম হয়।
আজ শুক্রবার বিকেলে ফরিদগঞ্জ থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে। এসময় ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত বুধবার রাতে দুবাই প্রবাসী হারুনুর রশিদের স্ত্রী এবং বিউটিশিয়ান মমতাজ বেগম রিক্তার সঙ্গে তার ভাতিজা আব্দুল মালেকের ছেলে মেহেদী হাসান শুভ কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মেহেদী তার বাবা মায়ের নামে কটু কথা সইতে না পেরে ক্রাইম পেট্রোল দেখানো খুনের আদলে হাতুড়ি দিয়ে রিক্তার মাথায় আঘাত করেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরি দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় এবং ঘরে থাকা লেপে মুড়িয়ে বাথরুমে ফেলে রাখে পালিয়ে যায় মেহেদী।
এই বিষয়ে মমতাজ বেগম রিক্তার স্বামী হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ অভিযুক্ত মেহেদীকে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে। পরে আজ বিকেলে শুভকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে।